আগের দিনে যখন অফিস থেকে অনেক দিন অনুপস্থিত থাকার কোনো কারণ থাকতে যেমন বাইরে ভ্রমণ করতে যাওয়া বা অসুস্থতা বা মাতৃত্বকালীন ছুটি এই সব সময় বাড়ি থেকে কাজ করা (work from home)দেখা যেত।
কিন্তু এখন কোভিদ নাইনটিন অতি মারির কারণে বাড়ি থেকে কাজ করা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে বেশিরভাগ সংস্থার ক্ষেত্রেই।
যদিও প্রাথমিকভাবে এটাকে ভালো ব্যাপার বলেই মনে হয় তবে বাড়ি থেকে কাজ অনেকদিন ধরে করতে থাকলে কিছু মানসিক অসুবিধা হতে পারে যেমন একাকীত্ব (যদি কেউ একা থাকে) খিটখিটে মেজাজ, কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা খুব বেশি রাগ হয়ে যাওয়া খুব বেশি ঘুম বা ঘুমের অসুবিধা দুশ্চিন্তা হতাশা ইত্যাদি।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে যখন বাড়ি থেকে কাজ করছেন তখন এই উপায় গুলি করা যায়
একটা রুটিন ফলো করুন
নিজের প্রাথমিক কাজ প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট সময়ে করুন যেমন নিম নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়া
সকালে কাজ যেমন বাইরে ঘুরতে যাওয়া বা ব্যায়াম করা যোগ ব্যায়াম করা এগুলো ঠিক মত সময়ে করা প্রত্যেক দিন
ইকো থেরাপি করা
ইকো থেরাপি রক্তচাপ কমাতে এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে
প্রতিদিন 20 30 মিনিট ব্যায়াম এর ফলে দুশ্চিন্তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং ইনডোর ফ্যাটের পরিমাণ শরীরে বাড়ে এবং সেরোটোনিনের পরিমাণ মস্তিষ্কে বারে যাতে মস্তিষ্ক চনমনে থাকে এবং শরীর খুব ভালো লাগা বোধ হয়
যোগব্যায়াম প্রাণায়াম ধ্যান শরীর মন সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে
কাজের পোশাক বা ড্রেসে থাকলে ভার্চুয়াল মিটিং এর সময় সুবিধা হয়
বাড়িতে কাজের আলাদা জায়গা করতে হবে
যদি সম্ভব হয় নিজের সোফা বা বেড বাদ দিয়ে আলাদা একটি কাজের জায়গা করতে হবে এটা খুবই উপকারী এবং প্রয়োজনীয়
চেয়ার চেয়ারটি হবে আরামদায়ক এবং আর কোন মিকচার এটা ব্যবস্থা করুন এতে আপনার ঘাড় কাঁধ ব্যাগ ইট এর মাংসপেশির ব্যথা কম হবে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা হবে কিছু সংস্থা নিজেরাই কর্মীদের জন্য এ ব্যবস্থা করে দেয়
বাড়ির সবাইও কাজের সময়ের মধ্যে পার্থক্য রাখুন
কাজের শুরু ও শেষ এর সময় নির্দিষ্ট রাখুন প্রতিদিনের কাজের নির্দিষ্ট পরিমাণ গুগোল সেট করুন সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদাভাবে সময় রাখুন (সেট করুন)
নিয়মিত সময় অন্তর বিশ্রাম নিন
এতে একঘেয়েমি কাটবে চোখের উপর চাপ কমবে যারা একটানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ইউজ করার ফলে একভাবে অনেক সময় তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে অসুবিধা হয়
নিজের দেখভাল করুন
নিয়মিত ঘুমান যদি সম্ভব হয় দিনে আট ঘন্টা ঘুমানো ভালো বিছানা পরিস্কার রাখুন এবং আরামদায়ক বিছানা ঘুমান স্বাস্থ্যকর পুষ্টিকর খাবার খান বাইরের জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন নিজের একটা শখ(হবি) তৈরি করুন নতুন কিছু শেখার দিকে মন দিন
কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন যে সময়টাতে আপনি গান শুনতে পারেন বা রান্না করতে পারেন
অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিক রাখুন
সহকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং ফোন কল কিছু জায়গায় ভার্চুয়াল ককটেল পার্টি বা কফির পার্টি অনুষ্ঠিত হচ্ছে
বাড়িতে লোকেদের সঙ্গে সহজ ভাবে মেলামেশা করুন
বন্ধুদের সঙ্গে সামনাসামনি ফোনে বা ভিডিও কলে যোগাযোগ রক্ষা করুন
ডিজিটাল ডিটক্স(যান্ত্রিকতা নির্বীষকরণ)
ইন্টারনেট আসক্তি এড়িয়ে চলুন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন
নিজের ক্ষমতা যথাসাধ্য ব্যবহার করার জন্য ভালো মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা দরকার এতে আমাদের করণীয় কর্তব্যের জন্য মনোযোগ একাগ্রচিত্তে কাজ ও শক্তি মিলে যা আমাদের পথেরও কাজের বাধা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for your time to comment and ; no spam link please.