ওজন কমানোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে কি জানা উচিত ?
জীবনে চলার পথে অনেক লোভনীয় জিনিষ এর আশা আমাদের হাতছানি দেয়। তেমনি একটি আশা হল সুন্দর সুঠাম দেহ। যাতে সিক্স প্যাক অ্যাব্স , পাতলা অথচ শক্ত কোমর ইত্যাদি থাকে।
ওজন কমানোর কাহিনী বা প্রচেষ্টা আমাদের অনেকের কাছেই কিছু নতুন বা খুব মন উত্তেজক কিছু নয়।
এই পথটাকে আমরা সর্বদা মনে আশা করি যাতে কাটা ভরা পাথুরে দুর্গম পথ না হয়ে অনেক সহজ পথ হয়।
আর যদি আপনার ওজন 50 কেজি বা তারও বেশি কমাতে হয় তাহলে পথ সহজ হওয়ার কথা ভুলে যান। কারণ পথটা বরফে ঢাকা তাই কখনো হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এগোতে হতে পারে।
রাস্তা জুড়ে আমাদের পিছনে কোথাও না কোথাও কোন না কোন লোক থাকে যারা সব সময়ই আমাদেরকে নানা পরামর্শ দিচ্ছে, চিৎকার করে বলছে যাতে আমাদের যাত্রাপথ টা কিছুটা হলেও সহজ হয়।
অসুবিধাটা কি ? না যে তারা আপনাকে কাঁধে তুলে নিয়ে চলতে পারবে না যদিও তাদের পিঠ ফাঁকা । এই পথটি আপনাকে একাই চলতে হবে। পরিশ্রম আপনাকেই করতে হবে।
তাহলে আপনি এখন এখানে দাঁড়িয়ে সেই পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে আছেন যা আপনাকে পেরোতে হবে। এই পাহাড়ের দিকে তাকানোর অনুভুতি ভয়াবহ এবং ক্লান্তিকর ।
আমার মত আপনিও অপ্রীতিকর অবস্থা ও জিনিসগুলো শিখেছেন বা বের করেছেন খুঁজে খুঁজে যা কেউ আপনাকে বলেনি ।
এই সুস্বাস্থ্যের পথে এগোতে বা সুস্বাস্থ্যের পথ খুঁজে নিতে এই রাস্তায় চলতে গিয়ে আপনার যা অপ্রস্তুত অবস্থা হয় বা সিদ্ধান্তহীনতার অবস্থা হয় বা এর জন্য যে সংগ্রাম করতে হবে তার জন্য আপনাকে কেউ তৈরি করে দেয় না।
আমার মনে হয় দশ বছর আগেও আমি যখন এ পথে চলা শুরু করেছিলাম এই ওজন কমানোর জার্নিতে তখন আমাকে কেউ যদি বলতো এইসব কথা হয়তো তখন আমি শুনতাম না বা শুনলেও বিশ্বাস করতাম না।
তবে কেউ যদি বলতো , আমার ইগোতে ধাক্কাটা হয়ত অনেক কম লাগতো এবং উত্তেজনাটাও কম হতো এই জার্নি (weight loss journey ) শুরু করার আগে।
কিরকম ? কেউ এটা নিয়ে সতর্ক করে না যে এটা কতটা ব্যয়বহুল হবে ?
আপনার ওজন বাড়ার অনেক রকম কারণ থাকতে পারে।
হতে নাও পারে এটা যে আপনি অলস হয়ে গেছেন আর নড়াচড়া না করার ফলে আপনি মোটা হয়ে উঠেছেন।
বা হঠাৎ করে আপনি মোটা হয়ে গেছেন কোন শারীরিক সমস্যার কারণে।
আপনি সারাদিন কাজ করার জন্য ঝুড়ি ঝুড়ি এমন কারণ নিয়ে ঘুরে বেড়ান যার জন্য আপনাকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয় যার ফলে আপনি মোটা হয়ে গেছেন ।
হয়তো আপনি মনে আঘাত পেয়েছেন, হতাশা আছে বা আবার শরীর অসুস্থ বা কখনো আপনি ঠিক করে জানেন না কিভাবে ঠিক খাবার খেতে হয় বা আপনার কোন ইটিং ডিজঅর্ডার আছে বা আপনার খুব অ্যাঙ্জাইটি (anxiety) আছে ।
কারণ যাই হোক আপনি আজ এখানে এসে পর্যবসিত । এখন আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে এই ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য।
আপনাকে নতুন গ্রুপে জয়েন করতে হবে।
ফোরামের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।
পুষ্টি বিদের এর সঙ্গে কথা বলতে হবে।
জিমে জয়েন করতে হবে নাহলে বাড়িতেই নতুন ইকুইপমেন্ট বা যন্ত্রপাতি কিনে নিতে হবে বা আপনাকে নতুন রেসিপি শিখতে হবে নতুন ধরনের খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
এইসব করতে আপনার টাকা এবং সময় ব্যয় হবে।
আপনাকে এগুলো শান্ত মনে ভাবনা চিন্তা করে প্ল্যান করে সেগুলোর জন্য নিজেকে তৈরি করে ওয়ার্ক আউট করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হবে।
কেউ আপনাকে ধারাবাহিক ভাবে এগুলো বলে দেয় না যে কিভাবে আপনি প্ল্যান করবেন বা তৈরি হবেন কিভাবে সেগুলো এক্সিকিউট করবেন বা আপনার খাবারটা কি করে তৈরি করবেন। এগুলো আপনাকেই খুঁজে নিতে হবে।
এত কিছু করার পরে এত সময় ব্যয় করার পরে আপনি সাফল্যের মুখ দেখতে পারেন। আপনার ওজন কম হতে শুরু করে।
আপনি আরো বেশি খরচ করে নতুন জামা কাপড় কেনা কাটা করবেন। নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। আপনি যেরকম নিজেকে করতে চাইছিলেন সেরকম জীবন স্টাইল, জীবনশৈলীর সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে থাকবেন।
ওজন কমানো খরচসাপেক্ষ অন্যেরা যাই বলুক অন্যদের কথায় কান দেবেন না।
ভালোভাবে বেঁচে থাকার দাম অনেক।
চামড়ার সমস্যা :
আপনার চামড়া সবসময়ই পুরো একদম পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে না
ইনস্টাগ্রামে স্ক্রল করতে করতে মসৃণ পেট আলা মেয়েদের বিকিনিতে ছবি বা সুন্দর বিয়ের পোশাকের ছবিতে দেখে যখন মনে হয় যে নিজের পেট ঐরকম কখনো হবে না তা আমি যতই চেষ্টা করিনা কেন তখন একটা আলাদা ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। তখন এইসব থেকে বেশিরভাগ লোকই হাত তুলে দেবেন এবং সবকিছু ছেড়ে দিয়ে বলেন "না আমি এসব পারবো না"।
কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে .......
এই অতি টানটান চামড়া কি আপনার আত্মতুষ্টির চিহ্ন ?
অতি কষ্টকর চেষ্টা করেও ঠিক হয় না এমন বডি নিয়ে আপনি কি করবেন ?
অতীব থলথলে পেট নিয়ে আপনি কি করবেন?
আপনি কি এটা কি এতই ভালোবাসেন যে প্লাস সাইজের ঢোলা জামা কাপড়ের মধ্যে একে লুকিয়ে রাখবেন ?
আপনি নিজেকে কতটা ভালোবাসেন?
এগুলো চেষ্টা না করার জন্য নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমি নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করতাম তখন আমার সবথেকে কম ওজন তখনকার সময়ে।
আমার পেট কোঁচকানো চামড়ার ভাজে ভাজে ঝুলে পড়েছিল ।
নষ্ট! আমি নিজেকে নষ্ট করে ফেলেছি!
আমাকে কেউ ভালবাসার আগেই আমি নিজেকে নষ্ট করে ফেলেছি!
এই ধরনের চিন্তাভাবনার সমস্যা হচ্ছে আপনি নিজেকে অন্যের তৈরি করা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মূল্যায়ন করছেন ।
এমনকি আপনি যদি ছোট হালকা-পাতলা হন তাও আপনি অন্যের থেকে ভালোবাসা পাওয়ার একটা পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন নিজেকে ভালোবাসার জন্য তাকে বোঝানোর চেষ্টা ।
আপনি যে ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য তা নিজেকে বোঝানোর সময় এটা।
তাই নিজেকে সেই ভালোবাসা টা দিন, সেই ক্ষমার মাধ্যমে শুরু করে আর শেষ হবে নিজেকে উদযাপন করার স্বাধীনতার মাধ্যমে ।
আপনি কিছু বন্ধুবান্ধব হারাবেন :
ওজন কম করতে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সুস্বাস্থ্যের দিকে যেতে আপনাকে কিছু কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে হয়। ওজন কম করতে গেলে কিছু বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন কম করতে হয়।
যদিও এটা ঠিক- এই লোকগুলোর ছিল তোমার মত ড্রিংকিং এর বন্ধু , পার্টির বন্ধু, মোচ্ছোব করার মোটা বন্ধু - 'আপনি'। এরা আপনাকে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্যই দেখতো। তাই আপনার হালকা-পাতলা চেহারা দেখে এরা তোমার থেকে দূরে চলে যাবে, বরং এটাই ঠিক।
এখন আপনি আগের থেকে আলাদা তাই আপনি তাদের জন্য কিভাবে ফিট হবেন সেটা তারা বুঝতে পারে না।
ঠিক আছে ।
পরিবর্তন তো খুব কঠিন।
যারা আপনাকে ভালবাসে তারা আপনার সুস্বাস্থ্যের প্রতি অগ্রগতি দেখে আপনার চোখের যে ঔজ্জ্বল্য সেটা খুব ভালবাসবে, পছন্দ করেন আর তারা চাইবে আপনি সেই উজ্জ্বলতা ধরে রাখুন ।
যারা আপনাকে ভালোবেসে ভালো জিনিস গুলো দেখাচ্ছে তাদের সেই ভালটাকে পছন্দ করুন প্রশংসা করুন এবং ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
জাঙ্ক ফুড দিয়ে যে জায়গাটা ভরাতেন ভালবাসা দিয়ে সেই জায়গাটা ভরান।
নতুন ভয়ের উদ্ভব হবে :
যখন আপনি মোটা তখন আপনার ভয় করবে: লোকে আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে। আপনি খাওয়া-দাওয়া তে ভয় পাবেন। ভয় হবে আপনি অসুস্থ হবেন। আপনি তাড়াতাড়ি মরার ভয় পাবেন।
যখন আপনি রোগা (মোটা থেকে রোগা) হয়ে যাবেন তখন আপনি আবার ভয় পাবেন যে আবার না মোটা হয়ে যাই।
খাবার দেখা থেকে আপনার অসম্ভব টেনশন হবে, বাইরে যাওয়াতে, ঘুরে বেড়াতে, আপনার এনজাইটি হবে আপনি নার্ভাস হবেন আর যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ই আপনার সব সময় মনে হবে "এটা আমাকে মোটা করে দেবে না তো ?"
এই ভয়গুলো কাটানোর উপায় হচ্ছে নিজেকে আপনার মোটার জন্য দোষী না ভাবা , আর এটা সবসময়ই মাথায় রাখা যে আপনি আপনার ব্যর্থতার জন্য মোটা হননি।
এটা যখন বলাই হল আমায় এটা মাথায় রাখতে হবে যে আমি প্রত্যেক দিন ওয়েট স্কেলে দাঁড়াবো এবং বেশি ফ্যাট ওয়ালা চিজ এড়িয়ে চলব।
কখনো কখনো এই এনজাইটি এত বেশি হয় যে যুক্তি দিয়ে সেটাকে দমিয়ে রাখা যায় না তখনই তাকে একটু ছাড় দিতে হয়।
আপনি এর থেকে বেশি খুশি কখনো হবেন না :
এটা একদম সত্যি কথা।গোটা জীবন ধরে মোটা হওয়ার জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে যেমন এরো প্লেনে ওঠা অসুবিধা , যোগ ব্যায়াম করা, সেক্স করা , অন্যদের কাছে সম্মান পাওয়া ।
আমি আমার ঘরে বসে থাকতাম আর নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম আমি যখন ওজন কমাবো ও পাতলা হবে তখন আমি খুব খুশি থাকব ।
আমি ওজন কমাতে চেষ্টা করছি আর ওজন থাকার জন্য আমার যত অসুবিধা হচ্ছিল সেই গুলো আস্তে আস্তে সরে যাবে মনে করছি ।
আমি যখন পাতলা ছিলাম আমি আমার জীবনের সবথেকে সুন্দর ভালোবাসা পেতাম।
যখনই আমি পাতলা হব তখনই আমি আমার কাজ নিয়ে খুব সন্তুষ্ট হবো।
আমি নিশ্চিত আমি যে সব নতুন জামা কাপড় কিনব পাতলা হওয়ার পর তাতে আমাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগবে।
আমার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক খুব ভালো হয়ে যাবে যখন আমি পাতলা হয়ে যাব।
আমি ভাবলাম আমি ২৫ কেজি ওজন কমাবো এবং এবং ঘুম থেকে খুব খুশি মনে জেগে উঠলাম।
কিন্তু এরকম টা হলো না ২৫ কেজি কেন ৫০ কেজি কম করলেও এটা হল না , হত না।
আমি ভাবতাম যে আমার মোটা হওয়া টাই আমার দুঃখের কারণ হয়তো বা তাই কিন্তু দুঃখ গেলে যে মন একবার খুশিতে ভরে যাবে তা তো হয় না। আমার মন তো একটা বালতি নয় যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বালতি টাকে খুশি দিয়ে ভরে দেবে।
খুশি থাকাটা একটা সক্রিয় সিদ্ধান্ত যেটা আমাকে প্রতিদিন সকালে উঠে নিতে হতো এবং সব সময় নিতে হতো যতদিন আমি জীবনে এগিয়ে যেতাম ।এটা খুব কঠিন কাজ ছিল কিন্তু চেষ্টা করে তাকে সফল করা হয়েছিল ।
যেহেতু আমি নতুন নতুন পাতলা(ওজন কমিয়ে) হয়ে ছিলাম তাই আমাকে না করার লিস্টে আরো অনেক নতুন জিনিস যোগ করতে হয়েছিল যেমন ফ্যাটি খাবার, মসলাদার খাবার, বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে মেনু না দেখে খাওয়া যাবেনা এরকম আরও অনেক কিছু।
খাবারের নিয়ম বহির্ভূত কোন খাবার খেতে পেতামনা , ট্রেনিং কোনদিন বাদ দিতে পারতাম না এখন আমি নরমাল লোকেদের মতন সব কাজকর্ম করার মতন হয়ে উঠিনি, তাই পারতাম না।
মোদ্দাকথা:
শেষমেষ কথা হচ্ছে যে খুশি থাকার মন্ত্র টা আমার মোটা বা রোগা হওয়ার মধ্যে নয়, কোন কাজ করতে পারা না পারার মধ্যে নয় , এটাই স্বাভাবিক। এটা সবসময়ই ছিল।
মানুষের নিজের মনের মধ্যে খুশি থাকাটা মানুষের মনের ব্যাপার।
খুশি থাকতে গেলে মানুষকে নিজের মন থেকে খুশি থাকতে হয় । সে যে যে রকমই হোক। আপনি যদি মোটা ও বড় হন তবে নিজেকে সেই ভাবেই ভাবুন। নিজেকে সেই হিসেবে ভালবাসুন। তাহলেই মনে খুশি থাকা যাবে ।
অন্যরা বাইরে থেকে যে যাই বলুক না কেন, আপনি যেটা করতে পারুন বা না পারুন নিজের পরিধি নিজের সামর্থ্য কে ভালোবাসতে পারলে খুশি থাকা যায়।
এটা কোন মুভি এন্ডিং এর সংলাপ বলে মনে হতে পারে কিন্তু এটা সত্যি যে সময় গুলো এসব ভাবতে ভাবতে আমি বেডে কাটিয়েছি সে সময় গুলো সবই নষ্ট হয়েছে।
আমার মনে হত যে ওজন কমানোটা যেন আমাকে চেন দিয়ে বেঁধে রেখেছে। এর বাইরে বেরিয়ে যাওয়া, চেন ছাড়িয়ে হাত-পা ছড়িয়ে খুশিতে হাসিতে ফেটে পড়ার মতো জিনিস।
এটা আমি ভাবতে ভুলে গেছিলাম, সেটা হচ্ছে আমি যখন মোটা ছিলাম তখন আমাকে ধরে রাখাই অসুবিধা ছিল তবুও আমাকে যারা ভালোবাসে, আমি যাদেরকে ভালোবাসি, তারা সবাই আমার চারপাশে থাকতো। আমি যা করতে চাইতাম তা আমি নিজের ইচ্ছাতে ভালোভাবে করতে পারতাম।
গোটা জীবনভর চলার ক্ষেত্রে পাওয়া ভালোবাসা এবং খুশির কাছে ওজন কমানোটা পার্কে একটা পাক হেটে আসার মত।
যখন আপনি আপনার যাত্রা বন্ধ করেন আপনার নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য এবং বুঝতে পারেন যে আপনার শরীর ব্যথা করছে, অন্তরাত্মা আপনাকে থামতে বলছে তখন এটা ভাবতে ভুলে যাবেন না যে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল কোনটা মূল্যবান আপনার কাছে।
শুভ ওজন কমানোর ভ্রমন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for your time to comment and ; no spam link please.