আলু ও ভাত ও মাংস যুক্ত খাবার খেলেই যে শরীর সুস্থ ও ভালো থাকবে তা কিন্তু নয় । যদিও দুটো খাবারই সুষম খাবারের মধ্যে পড়ে । অনেকেরই শুধু প্রোটিন যুক্ত খাবারের উপ র ঝোক থাকে এবং সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার প্রতি মনোযোগ দেয় না । কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন ছাড়াও আরো অন্য কিছুর দরকার তাদের দরকার আড়াই কাপ সবজি, দুইকাপ ফল, 40 গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার । তবে এ লক্ষ্যে খুব কম লোকই পৌঁছাতে পারে । এখানে কিছু খাবারের কথা বলা হল যা মানুষকে স্বাস্থ্যকর এবং দীর্ঘ জীবন যাপন করতে সাহায্য করবে ।
পালং শাক
পালং শাক একটি হালকা স্বাদের খাবার । এই শাক রান্না করা খুব সহজ । অনেকেই তেতো বা অগ্রগণ্য যুক্ত শাক খেতে আপত্তি করেন তারা ইমিটেশনের শাক রান্না করে খেতে পারেন । এটি তাদের কাছে ভালোই লাগবে এতে থাকে ক্যারোটিনয়েড , বিটা ক্যারোটিন , লুটিন , জেটাজন্থিন । গবেষণায় পাওয়া গেছে যে এই যৌগ গুলি ক্যান্সার হওয়া এবং তার প্রসার ঘটা আটকাতে পারে এবং কম করতে পারে । লুটিন ও জেটাজন্থিন নীল আলো যা মোবাইল ল্যাপটপ ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বের হয় তা থেকে চোখকে রক্ষা করে । এছাড়া বয়স্ক লোকদের মধ্যে করা একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে যারা সবজি সবুজ পাতা যুক্ত শাক যেমন পালং শাক বা অন্য শাক দিনে একবার খেয়েছেন তাদের মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা শাক না খাওয়া লোকদের থেকে ভালো । শাখা লোকেদের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা তাদের থেকে 11 বছরের ছোট লোকেদের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা র সমান ।
বাদাম
স্প্যানিশ গবেষকদের মতে প্রতিদিন একমুঠো বাদাম আপনার খাবারের যোগ করলে তা আপনার যৌন জীবন আরো ভালো করে তোলে । সমীক্ষায় পাওয়া গেছে বাদাম যারা খেয়েছে তাদের অরগাজম যারা বাদাম খায়নি তাদের থেকে অনেক বেশি ভালো হয়েছে । অন্যান্য গবেষণায় পাওয়া গেছে বাদাম স্পার্মের গুনাগুণ বৃদ্ধি করে যাদের সন্তান হওয়ার ক্ষমতা বেশি হয়ে থাকে । উভয় ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট এ কাজে সহায়তা করে বলে ভাবা হয় ।
দই
১,৮০,০০০লোক নিয়ে 30 বছর ধরে চলা একটি সমীক্ষা থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে যে
যারা প্রতিদিন দই খান তাদের রক্তচাপ বাড়ার ঝুঁকি 16 শতাংশ কম থাকে তাদের থেকে যারা মাসে একবার বা তার কম দই খান । যখন দইয়ের সাথে সবজি আঁশযুক্ত খাবার শস্যদানা যুক্ত করে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা হয় এবং খাওয়া হয় তাতে দেখা যায় যে 30 শতাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কম থাকে । এটা লক্ষ্য রাখতে হবে যে 2 জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকার অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করা যায় যাতে লাল মাংস এবং প্রক্রিয়া করা মাংস কম খাওয়া হয় । এবং চিনি বা সরকারের যুক্ত পানীয় কম থাকে । যেহেতু দুই ক্যালসিয়ামের মত উপাদানের ভর্তি থাকে তাই এটা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বেশি সুবিধা প্রদান করে থাকে।
এলাচ
এলাচ আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি তবে এলাচের মস্ত ছাড়াও আরো অনেক গুনাগুন আছে । এলার্জি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিপূর্ণ থাকায় শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ ভালোভাবে সম্পাদনা করতে সাহায্য করে । এলাচ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এলাচ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে । ধমনী ও শিরার রক্ত চলাচল মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। ধমনী শিরায় কোলেস্টেরল জমা হলে রক্ত চলাচল বন্ধ হতে পারে এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য খুব দরকারি এবং এ লাচ কোলেস্টেরল জমে রক্ত বন্ধ করার আটকাতে ও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । ভাউল্ট ওভাবে দেখলে অক্সিডেন্ট এর সাথে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া শরীরের ক্ষয় হয়ে থাকে শরীর বয়স্ক দুর্বল হতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই অক্সিডেন্ট কে নির্মূল করে শরীরকে সতেজ রাখে এবং শরীরের বয়স্ক হওয়ার প্রক্রিয়াকে আটকায় ।
লবঙ্গ
লবঙ্গ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং প্রচুর ঝাজ যুক্ত একটি মসলা । এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এন্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বয়স্ক হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে । অক্সিডেন্ট শরীরের ভালো রাসায়নিক উপাদান গুলোকে নষ্ট করে ফেলে ফলে শরীর ক্রমশ দুর্বল হয় এবং অভ্যন্তরীণভাবে ক্ষয় পেতে থাকে যা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বোঝা যায় । শারীর বৃত্তীয় কার্যকলাপ ঠিক রাখার জন্য ধমনী ও শিরার রক্ত মসৃণভাবে চলাচল করা দরকার কিন্তু অক্সিডেন্ট বেশি থাকলে রক্ত চলাচলের পথে কোলেস্টেরল ও আরো অন্য উপাদান জমে রক্ত চলাচল বন্ধ করতে পারে । লবঙ্গ এর উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া আটকাতেও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ।
সয় beans
Soy beans হচ্ছে soy বীজ যুকত বীনস বা সিম ।
পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার হচ্ছে দ্বিতীয় সবথেকে বেশি হওয়া ক্যান্সার গবেষণায় পাওয়া গেছে যে সয়াবিন খাবার এইসব ক্যান্সার হওয়া কমাতে পারে। 1 গ্রাম সয়া বিন স্ এ 11 গ্রাম প্রোটিন 5 গ্রাম ফাইবার থাকে এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম ফোলেট আয়রন পটাসিয়াম এগুলো থাকে ।
অভোক্যাডো
প্রচুর চর্বি ও ক্যালোরি থাকা সত্ত্বেও অ্যাভোকাডো সময়ের সাথে সাথে আপনার ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে । সাম্প্রতিক সমীক্ষায় পাওয়া গেছে যে অ্যাভোকাডো খাওয়া মানুষের 11 বছর ধরে অভোক্যাড খাওয়া র পর যা ওজন বেড়েছে তা অভোকেড না খাওয়া লোকের থেকে কম । স্বাস্থ্যকর চর্বি ও আঁশযুক্ত থাকায় এভোকাডো খাদ্যতালিকায় যোগ করার জন্য একটি খুব ভালো উপাদান । গবেষণায় পাওয়া গেছে এভোক্যাডো খাওয়ার ইচ্ছা কম হয় এবং খাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া ইনসুলিন মাত্রা ঠিক রাখে যার ব্লাড সুগার কন্ট্রোল হয়।
সালমন মাছ
এতে থাকা ওমেগা থ্রি হার্ট রোগ কমায় যা পৃথিবীজোড়া মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ । সালমন ও অন্য সামুদ্রিক মাছ লীন প্রোটিনযুক্ত হয় ।
সপ্তাহে দু'বার সামুদ্রিক খাবার মাছ খেয়ে আপনি শুধু ওমেগা-থ্রি আয়রন জিঙ্ক পাচ্ছেন না তার সাথে আপনি রেডমিট ও কম করতে পারেন যা অনেকেই ছাড়তে পারে না
Blueberries
এই ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের ডিএনএ (ড্যামেজ করে )ক্ষতি করে এবং ক্যান্সারের সৃষ্টি করে তাকে প্রতিহত করতে পারে । ক্যান্সার ছাড়াও ব্লুবেরি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং প্রয়োগমূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে । 1kw বাড়িতে চার গ্রাম ফাইবার থাকে যা পেট পরিষ্কার করতে খুব উপকারী ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for your time to comment and ; no spam link please.